পাঁচদিনে দুই ভূমিকম্প, বাংলাদেশে ঝুঁকি কতটুকু
- আপলোড সময় : ০৭-০১-২০২৫ ১১:৪৫:২৩ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৭-০১-২০২৫ ১১:৪৫:২৩ অপরাহ্ন
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
পাঁচদিনের মধ্যেই দুটি ভূমিকম্পে নড়ে উঠল দেশ। প্রথমটি মাঝারি হলেও দ্বিতীয়টি তীব্র মাত্রার। এতে বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকি কতটুকু সে প্রশ্নই এখন অনেকের মনে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গত ৩ জানুয়ারি ভূমিকম্পটি ছিল ‘মাঝারি’ ধরনের। রিখটার স্কেলে ৫ মাত্রার ভূমকম্পনটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের হোমালিন। আর মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) যে ভূমিকম্পনটি অনুভূত হলো সেটির উৎপত্তিস্থল চীনের জিজাং (তিব্বত) এলাকা থেকে। রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূকম্পনটি ছিল ‘তীব্র’। এতে এখন পর্যন্ত ৯৫ জন নিহত হয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিভিন্ন খবরে জানিয়েছে।
দুটি ভূমিকম্প উৎপত্তিই দেশের বাইরে এবং বেশ দূরে। ৩ জানুয়ারি মিয়ানমারের ভূকম্পনটি ঢাকা থেকে ৪৮২ কিলোমিটার দূরে। আর চীনের জিজাংয়ের ভূকম্পনটি উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৬১৮ কিলোমিটার দূরে।
দেশের বাইরে উৎপত্তিস্থল হলে এক সপ্তাহে দু’বার ভূকম্পন অনুভূত হওয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন দেশের জন্য বিষয়টি কতটা আশঙ্কার। আবহাওয়া অফিসের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবায়েত কবীর এ বিষয়ে বলেন, দেশের সীমানা ঘেঁষা না হওয়ায় এমনকি উৎপত্তিস্থল অনেক দূরে হওয়ায় দেশের জন্য শঙ্কার কিছু নেই। চীনের ভূমিকম্পটি অনেক দূরে হলেও তীব্রমাত্রার কারণে আমাদের এখানে অনুভূত হয়েছে। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি নেই।
তিনি বলেন, যে দুই জায়গায় এক সপ্তাহের মধ্যে ভূমিকম্প হয়েছে, সে জায়গাগুলো ভূমিকম্প প্রবণ। হরহামেশাই সেখানে হয়। আগেও হয়েছে।
যেভাবে ভূমিকম্প হয়:
পৃথিবীর উপরিভাগ অনমনীয় প্লেটের সমন্বয়ে গঠিত। এগুলো আগে একত্রে থাকলেও এখন আলাদা হয়ে গেছে। এই পৃথক পৃথক অংশগুলোকে টেকটোনিক প্লেট বলা হয়। ভূগর্ভস্থ নানান পদার্থের কারণে চাপ সৃষ্টি হলে প্লেটগুলো একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা খায়। ফলে তরঙ্গ সৃষ্টি হয়। সেই তরঙ্গের শক্তির ওপরই আসলে নির্ভর করে ভূমিকম্পর মাত্রা, যা পৃথিবীর উপরিভাগেও অনুভূত হয়। এর ফলে যে ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়, সেটা আসলে ভূমিকম্প। সাম্প্রতিক দুটো ভূমিকম্পও হয়েছে টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষের কারণে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ